ধানি জমিতে বাড়ি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, ১৭ মামলা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচ সরকারি কর্মচারীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া সদর থানায় এসব মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ধানি জমিতে ঘরবাড়ি দেখিয়ে দুই কোটি আট লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও বর্তমানে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল কালাম, বরখাস্ত হওয়া যশোরের অতিরিক্ত ভূমি দখল কর্মকর্তা ও কানুনগো রেজাউল করিম, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সার্ভেয়ার রবিউল ইসলাম ও মাগুরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক খন্দকার আজিম আহমেদ। আসামিরা জমির মালিক বলে জানা গেছে।
দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল গাফফার বাদী হয়ে এসব মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ২২ থেকে ৩৮ পর্যন্ত। মামলার ধারা হচ্ছে ৪০৬, ৪২০, ৪০৯ ও ১০৯ দণ্ডবিধি।
মামলার বিবরণে আরো বলা হয়, ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ও আলমপুর মৌজার ৩২ দাগের জমিতে ধান উৎপাদন হলেও ভিটে শ্রেণি জমি দেখানো হয়। আলমপুর দুটি দাগে একই জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ছয়বার। ৩ দশমিক ৩৯৩ একর ধানি জমিকে ভিটে শ্রেণির জমি দেখানো হয়েছে। ওই জমিতে বর্তমানে ধান উৎপাদন হচ্ছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন চৌধুরী এসব মামলার কথা স্বীকার করেছেন।