বাংলার ঈগল দিয়ে চেনা যাবে সহজে
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নামে একটি গ্রাম নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর। ওই গ্রামে যাওয়ার জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে কোনো দিকনির্দেশক ভাস্কর্য বা স্থাপনা ছিল না। ফলে দেশের অন্যান্য এলাকার লোকজন মতিউরনগরে যাওয়ার জন্য সহজে রাস্তাটি বের করতে পারতেন না।
সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ নামাপাড়া নামক স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর’ গ্রামে প্রবেশমুখে দিকনির্দেশক চিহ্নসংবলিত ভাস্কর্য ‘বাংলার ঈগল’।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান ও পুলিশ সুপার আমেনা বেগম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) জসীম উদ্দীন হায়দার, রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. নজরুল ইসলাম, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ যথাক্রমে অধ্যাপক সূর্যকান্ত দাস, মোহাম্মদ আলী, গোলাম মোস্তাফা মিয়া ও কালাম মাহমুদ, রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. কাবিরুল ইসলাম খান, রায়পুরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মতিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরিজ, রাজনৈতিক নেতা রাজীব আহমেদ পার্থ, রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নিবারণ রায়, দৈনিক গ্রামীণ দর্পণের সম্পাদক কাজী আনোয়ার কামাল, ভাস্কর অলি মাহমুদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের লোকজন।
জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান জানান, দিকনির্দেশক চিহ্নসংবলিত ভাস্কর্যটি নির্মাণের ফলে সাধারণ মানুষ এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকরা অল্প সময়েই বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর গ্রামে যেতে পারবে এবং একজন বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি ধরে রাখাসহ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাঁর ভূমিকা জানতে পারবে।
রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার রামনগর গ্রামকে শহীদ মতিউরনগর নামে নামকরণ করে।