বাসচাপায় শ্রমিক নিহত, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ শনিবার সকালে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই পোশাকশ্রমিক নিহত হন। এই ঘটনায় শ্রমিকরা বাসে আগুন দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এই সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও রাবার বুলেট ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোখলেসুর রহমান জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করে দিলে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। শ্রমিকরা শান্ত না হয়ে দুর্ঘটনাস্থলে ওভারব্রিজ নির্মাণ এবং নিহত শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার দায়ী বাসমালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। নিহত শ্রমিককে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বাসমালিক। এই সিদ্ধান্তের পরও শ্রমিকরা রাস্তা না ছাড়লে জেলা, থানা ও শিল্প পুলিশ একযোগে অভিযান চালিয়ে লাঠিপেটা করে ও রাবার বুলেট ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে মোগড়াপাড়ায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় স্বদেশ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস স্থানীয় চৈতি গার্মেন্টসের দুই শ্রমিককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। খবর পেয়ে চৈতী পোশাক কারখানার প্রায় দুই হাজার শ্রমিক রাস্তায় নেমে আসেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বাসটিকে আটক করে আগুন জ্বালিয়ে দেন। পালিয়ে যান বাসের চালক ও তাঁর সহকারী। এর কিছুক্ষণ পর শ্রমিকরা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির ক্যামেরাপারসনের মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেন। শ্রমিকরা মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকা অবরোধ করলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।