সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিচার দাবিতে বরগুনায় মানববন্ধন
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সংবাদিক অপু রায়কে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে মারধর ও লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু, সাবেক সভাপতি আবদুল আলীম হিমু, আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর হোসেন, মুশফিক আরিফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অপু রায়কে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ থাকা আইনজীবী মইনুল আহসান তালুকদার বিপ্লবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পহেলা মে রাতে একজন সহযোগীসহ সাংবাদিক অপু রায় মোটরসাইকেলে করে কুয়াকাটা থেকে বরিশাল যাচ্ছিলেন। পথে আমতলী উপজেলার ঘটখালী স্ট্যান্ডের কাছাকাছি এলে বিপরীত দিক থেকে আসা আইনজীবী মইনুল আহসান তালুকদার বিপ্লবের ভাইয়ের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অপুর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অপুসহ মোটরসাইকেলের অপর আরোহী রিপন আহত হন। এ ছাড়া অপর মোটরসাইকেলে থাকা আহসান হাবিব (আইনজীবী মইনুল আহসানের ভাই) আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তাঁদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
ওই সময় ভাই আহসান হাবিবের আহত হওয়ার খবর পেয়ে আইনজীবী মইনুল আহসান তালুকদার বিপ্লব ও তাঁর ভাই প্রিন্স তালুকদার, ইউসুফ তালুকদার, টেলিশন তালকুদার লোকজন নিয়ে হাসপাতাল গেটে উপস্থিত হন। তাঁরা আহত সাংবাদিক অপু রায়কে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে মারধর করেন।
খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরও চড়াও হন আইনজীবী মইনুল ও তাঁর লোকজন। ওই সময় উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান, কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিনকেও তাঁরা মারধর করেন এবং একটি ওয়ারলেস সেট টেনে নিয়ে ভেঙে ফেলেন আইনজীবী মইনুল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে অ্যাডভোকেট মাইনুলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বর্তমানে আইনজীবী মইনুল জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আমতলী থানা সূত্রে জানা যায়, আইনজীবী মইনুল আহসান তালুকদার বিপ্লবের বিরুদ্ধে এর আগেও আমতলী থানায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে।