রায়পুরায় নির্বাচনের পর বাড়িঘরে হামলা, আহত ১০
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষ্যায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল হক সরকারের নিজ বাড়িসহ তাঁর সমর্থকদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে টোঁটা, বল্লম ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আবদুল হক সরকারের সমর্থক আনোয়ার হোসেন (৩৫), মোস্তফা মিয়া (৪৮), সোহরাব মিয়াকে (২২) নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আজ রোববার দুপুরে নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শনিবারের নির্বাচনে নিলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল হক সরকারকে পরাজিত করে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম।
নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ এনে আজ সকাল থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল হক সরকারের সমর্থক তারু মিয়া ওরফে তারু মেম্বারের নেতৃত্বে একদল লোক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী তাজুল ইসলামের সমর্থক বীরগাঁও গ্রামের হযরত আলীর বাড়িতে হামলা চালায় এবং দুটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বাড়ির লোকজন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়।
পরে এ ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাজুল ইসলামের সমর্থক হযরত আলীর নেতৃত্বে একদল লোক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল হক সরকার ও তাঁর পাঁচ সমর্থকের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। পরে স্থানীয়রা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাল্টাপাল্টি হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এলাকায় ১০ জন আহত হয় এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, মূলত ওই গ্রামটিতে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এ সংঘর্ষের ঘটনায় আমার নির্বাচন সংক্রান্ত বা আমার সমর্থকদের কোনো যোগসাজশ নেই। দুই পক্ষের কোনো পক্ষই আমার সমর্থক নয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।