টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার হত্যা মামলার তিন আসামিকে ছয়দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার দুপুরে আসামি গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বাদশা মিয়া, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম ও ঝন্টু মিয়াকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফিজুর রহমান জানান, ছয়দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।

তবে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে কোনোকিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তা।

চাঞ্চল্যকর নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক তিনজনকে গত ১ মে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই মামলায় তিনদিন করে মোট ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস।

গত ৩০ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নিখিল চন্দ্র (৫০) ডুবাইল বাজারে নিজ বাড়ির সামনে দোকানে কাজ করছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজন যুবক এসে তাঁকে দোকান থেকে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় তারা সেখানে একটি ব্যাগ ফেলে যায়। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ককটেল সদৃশ্য বস্তু পাওয়া যায়। মামলায়টি গত ১ মে গোয়েন্দা পুলিশে ন্যস্ত করা হয়। 

এলাকাবাসী জানায়, ২০১২ সালে নিখিল স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে তর্কের সময় হজরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন। পরে এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মামলা হয়। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে প্রায় তিন মাস হাজত বাস করেন। গত প্রায় এক বছর আগে বাদী মামলাটি তুলে নেন।