মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে
পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ থেকে চার মাস আগে। অথচ সেই সম্মেলন উপলক্ষে নেতা-নেত্রীদের ‘নাম’ প্রচারের জন্য টাঙানো অসংখ্য বিলবোর্ড এখনো রয়ে গেছে বেড়া বাসস্ট্যান্ডের গোল চত্বরসহ আশপাশে। নানা বাহারের বড় বড় বিলবোর্ড দেখা গেছে বেড়া পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানেও। একই অবস্থা সাঁথিয়া পৌর এলাকাতেও।
শুধু দলীয় সম্মেলন বা কর্মসূচি নয়, গত ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে জনগণকে ‘শুভেচ্ছা ও সালাম’ জানিয়ে টাঙানো বেশকিছু বিলবোর্ডও এখনো শোভা পাচ্ছে এ দুই শহরে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো অবৈধ বিলবোর্ড। এতে পৌর এলাকার সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
তবে এসব অবৈধ বিলবোর্ড ও ব্যানারে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন যানবাহন চালকরা। যাতে বিঘ্নিত হচ্ছে জননিরাপত্তা। সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের চলাচলেও। কিন্তু তারপরেও এগুলো অপসারণ করা হচ্ছে না।
পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রইস উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিলবোর্ড ও ব্যানারের কারণে সড়কদ্বীপ অর্থাৎ গোলচত্বরের কাছে চালকরা উল্টো দিক থেকে আসা যানবাহন অনেক সময় দেখতে পায় না। ফলে ওই স্থান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ১ নভেম্বর সাঁথিয়ায় এবং ২৯ নভেম্বর বেড়ায় উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা ও তাঁদের সমর্থকদের পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে যায় বেড়া ও সাঁথিয়া পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকা।
মলিন অসংখ্য বিলবোর্ডের ফাঁকে ফাঁকে দু-এক জায়গায় কিছু পুরোনো পোস্টারও দেখতে পাওয়া যায়। বিলবোর্ড ও পোস্টারের কারণে গোটা এলাকা হয়ে পড়েছে অনেকটাই শ্রীহীন।
সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মিরাজুল ইসলাম ও বেড়া পৌরসভার কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, অবৈধ বিলবোর্ড ও ব্যানার জননিরাপত্তার কথা ভেবে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বেড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিলবোর্ড-ব্যানার সব দলেরই কিছু কিছু আছে। তবে কিছুদিন আগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমাদের দলের বিলবোর্ড-ব্যানার হয়তো বেশি আছে। বিলবোর্ড-ব্যানার অপসারণের ব্যাপারে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’