নরসিংদীতে ১০ হাজার বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ হাজার বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিবপুর উপজেলার কামারগাঁও, পুটিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
নরসিংদী তিতাস গ্যাসের অঞ্চলিক বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক তওহিদুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা এলাকা ঘিরে রাখেন। কারিগরি ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল পারভেজের নেতৃত্বে একটি কারিগরি দল মাটি খুঁড়ে প্রায় চার হাজার ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্যের লোহার পাইপ উদ্ধার করে। খুব নিম্নমানের লোহার পাইপ থেকে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল বলে জানান তিতাস কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় কাউকে আটক বা জরিমানা করা যায়নি। অভিযান চলাকালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শিবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশারুল আফসার। তিনি সাংবাদিকদের জানান, শিবপুরে কেউ অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রশাসন যথেষ্ট কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া তিতাসের উচ্চচাপের সরবরাহ লাইন থেকে অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে প্রায় ১০ হাজার বাড়িতে গ্যাস দেওয়া হয়। এত সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৬০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। এর আগেও তিনবার এ অবৈধ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস কর্তপক্ষ। কিন্তু চোরাই চক্র সরকারি ছুটির দিন ও রাতের আঁধারে পুনরায় সংযোগ নেয়।
নরসিংদী জেলা প্রশাসনের হাকিমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় অভিযান পরিচালনা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। সেই সুযোগে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বারবার বাড়ি থেকে টাকা তুলে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই সুযোগে কতিপয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
অবৈধ সংযোগ নেওয়া ও সরকারি সম্পদের ক্ষতি করার জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদী তিতাস গ্যাস বিক্রয় কেন্দ্রের উপমহাব্যবস্থাপক আবদুল আহাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলতে থাকবে। নরসিংদীতে কোনো ধরনের অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকবে না।’
তিতাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নরসিংদীতে প্রায় এক লাখ অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে এর আগে প্রশাসনিক হাকিম, পুলিশ, সাংবাদিক, তিতাসের লোকজনের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে।