সাংসদ রানার বাড়িতে অভিযান, মালামাল ক্রোক
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার পৈতৃক বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় কিছু মালামাল ক্রোক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে সাংসদ রানার ছোট ভাই ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুর রহমান খান মুক্তির বাসা থেকে একটি ফ্রিজ ক্রোক করা হয়। রানার আরেক ভাই ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার ঘর থেকে একটি আলমারি ক্রোক করা হয়। এগুলো ছাড়া আরো কিছু মালামাল ক্রোক করা হয়। পর্যায়ক্রমে এ মামলার অপর ছয় আসামির মালামালও ক্রোক করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৬ মে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য রানা ও তাঁর তিন ভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেন আদালত। তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি গোলাম মাহফীজুর রহমান বলেন, এর আগে ফারুক আহমেদ হত্যার ঘটনায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য রানা ও তাঁর ভাই মুক্তি, বাপ্পা ও জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জারি করা হয়। এর পর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে থেকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন।