রোয়ানুর প্রভাবে তজুমদ্দিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে উপজেলার একাধিক গ্রামের বসতবাড়ি। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শতকোটি টাকা বলে দাবি করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান অহিদুল্ল্যাহ জসিম।
এ ছাড়া এসব এলাকায় এখনো স্বাভাবিক হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থা আর বিদ্যুৎ সরবরাহ।
গতকাল শনিবার ভোররাতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে ভোলার তজুমদ্দিনের শশীগঞ্জ বাজার এবং আশপাশের গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়। দুমড়ে-মুচরে যায় অন্তত পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্তরা বসবাস করছে এখন খোলা আকাশের নিচে। সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এসব ব্যবসায়ীসহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। বহু মানুষ সন্তান নিয়ে ঘরচাপা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও রক্ষা করতে পারেননি থাকার ঘরটি। ব্যবসায়ীসহ ক্ষতিগ্রস্তরা তাকিয়ে আছে সরকারী সাহায্যের দিকে।
একই সঙ্গে ভেসে গেছে ঘেরের পুকুরের মাছ আর মাঠের ফসল। তজুমদ্দিন উপজেলার চেয়ারম্যান অহিদুল্ল্যাহ জসিম জানিয়েছেন, পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। আরো এক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে আরো এক হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলার প্রধান বাজার বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এ ছাড়া মাঠের ফসল আর চাষের মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা বলে তিনি জানান।
এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা তজুমদ্দিন পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার কাজ হয়নি। তাই সঠিক করে বলা যাচ্ছে না ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।