ঘোড়াশালে মাঠ ফাঁকা, রায়পুরায় জমজমাট
আর মাত্র একদিন পরেই নরসিংদীর রায়পুরা ও ঘোড়াশাল পৌরসভা নির্বাচন। এর মধ্যে নির্বাচন জমে উঠছে রায়পুরা পৌরসভায়। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে মেয়র পদে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা। ফলে নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে এ পৌরসভায় শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
অপরদিকে ঘোড়াশাল পৌরসভায় নির্বাচনী মাঠ প্রায় ফাঁকা। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে এখানে নৌকার সমর্থকরা ‘বিজয়ানন্দের’ অপেক্ষায় আছেন। এরই মধ্যে ঘোড়াশাল পৌরসভার ছয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা বিনাভোটে নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন।
আজ সোমবার রাত ১২টা থেকেই এ দুই পৌরসভায় আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শেষে হচ্ছে। তার আগে বিকেলে রায়পুরায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফজাল হোসেনের নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচারে অংশ নেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক সোহেল পারভেজ।
নৌকা মার্কার পক্ষে নেতারা পৌরসভার রায়পুরা বাজার, মেথিকান্দা, পূর্বপাড়া, শ্রীরামপুর, বটতলী ও হোসেনপুর রেলগেট এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিলন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক ভূঁইয়া প্রমুখ।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী জামাল মোল্লা আনারস প্রতীকে জোর প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছে রায়পুরা আওয়ামী লীগের একটি অংশ। ভোটারদের মধ্যে আলোচনা আছে, জামাল মোল্লা সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও রায়পুরার সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহম্মেদের আশীর্বাদধন্য। ফলে নির্বাচনে তিনিও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।
এ ছাড়া শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বিএপির প্রার্থী ও রায়পুরা পৌরসভার বর্তমান মেয়র আবদুল কুদ্দুস। জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা তাঁদের প্রার্থীকে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের একটাই দাবি, সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। নির্বাচনে যাতে ভোটাররা ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা প্রশাসনকে নিতে হবে।
অপরদিকে পলাশের ঘোড়াশালে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করায় বিজয়ের অপেক্ষায় আছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান মেয়র শরীফ আহম্মেদ। গত ১৬ মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় অসহযোগিতার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
রায়পুরা পৌরসভা নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র, ২৯ জন কাউন্সিলর এবং পাঁচজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়াই করছেন। এ পৌরসভার মোট ভোটার ২৩ হাজার ৫৯৪ জন।
ঘোড়াশাল পৌরসভা নির্বাচনে দুজন মেয়র পদে, তিনটি ওয়ার্ডে সাতজন কাউন্সিলর এবং ছয়জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়াই করছেন। এ পৌরসভার মোট ভোটার ৫৮ হাজার ২৭২ জন।