ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের কাজ নিয়ে আ.লীগের বাকবিতণ্ডা
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের অধীনে ঠিকাদারি কাজ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে পাকশীর আমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ ও বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর অধীনে রাজবাড়ী, হালশা ও চুয়াডাঙ্গা এলাকায় প্রায় ৩৫ লাখ টাকার সাতটি প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। আজ সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দরপত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয়ে এসে আওয়ামী লীগ নেতারা দরপত্রের কাজ ভাগাভাগি করে নেন।
এই কাজগুলোর একটি পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবুল ইসলাম হব্বুল, সহসভাপতি এনামুল হক বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা চান্না মণ্ডলসহ কয়েকজন নেতা ভাগাভাগি করে নেন। এ ভাগাভাগিতে বাদ পড়েন উপজেলা আওয়ামী লীগের অপর সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সদস্য মোহাম্মাদ রশিদুল্লাহ। এই নিয়ে রশিদুল্লাহ আপত্তি তুললে নেতারা তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এই বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা মোহাম্মাদ রশিদুল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি রেলওয়ের একজন ঠিকাদার। আমাকে বাদ দিয়ে নেতারা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।’
আওয়ামী লীগ নেতা হবিবুল ইসলাম হব্বুল জানান, ‘রশিদুল্লাহ একজন ঠিকাদার ঠিক আছে। কিন্তু তিনি ঘরে ঘুমিয়ে থেকে কাজ নেবেন এটা তো হতে পারে না। কাজ নিতে হলে অবশ্যই কার্যালয়ে আসতে হবে। তা ছাড়া তিনি নেতাদের উদ্দেশে বাজে মন্তব্য করায় তাঁর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। পরে সবাই যার যারমতো ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় তেমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।’
এই বিষয়ে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (ডিইএন-১) আবু জাফর মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর অফিসের সামনে কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই তিনি কিছুই জানেন না।