ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে আসামি ধরা ও তাকে মারধর করার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
সদর থানার পুলিশ ও আহতরা অভিযোগ করেন, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলার আসামি মো. মিজানকে পুলিশ আজ সন্ধ্যায় ধরে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সেখানে তাঁকে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ শটগান দিয়ে বেশ কয়েকটি গুলি করে। এতে নারী-পুরুষসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। যার মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এতে গ্রামবাসী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে আক্রমণের চেষ্টা চালালে পুলিশ চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে জনতা বাজারের ব্যবসায়ী মো. সজিব (২২) ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত ও আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর সমর্থক।
এ বিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা করলে পুলিশ প্রথমে শটগান দিয়ে গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে শটগানের গুলি শেষ হয়ে গেলে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে বেশ কয়েকটি গুলি ছুড়েছে। এতে কেউ মারা গেছে কি না এখন পর্যন্ত খবর পাইনি। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।