ছাত্রলীগ নেতার পিটুনিতে আ. লীগ নেতা হাসপাতালে!
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রহিমকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুর রশীদ সুজনের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মনোহরদীর রুদ্রদী নতুন বাজার চৌরাস্তার মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মেহেদীকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী হাসান রহিম মনোহরদীর কাচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান। আগামী ৪ জুন হতে যাওয়া শেষ দফার ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি। আর ছাত্রলীগ নেতা সুজন মনোহরদীর পৌরসভার বর্তমান মেয়র।
আহত চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের পরিবারের সদস্যরা জানান, ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন ও নৌকা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মনোহরদীর রুদ্রদী নতুন বাজার চৌরাস্তার মোড়ে গণসংযোগ করার সময়ে মনোহরদী পৌর মেয়র, প্যানেল মেয়রসহ তাদের সমর্থকরা মেহেদীর ওপর হামলা চালায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা ও পৌরসভার মেয়র আমিনুর রশীদ সুজন বলেন, ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন। তবে মেহেদীকে তিনি মারধর করেননি।
সুজনের দাবি, নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন মেহেদী।
এর আগেও পৌরমেয়র সুজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল।