নরসিংদীতে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় একজন নিহত
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল নিলক্ষায় দুই পক্ষের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ও টেটাযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দুই সদস্যসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, আজ বুধবার সকালে নিলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের লোকজন এলাকার আধিপত্য বিস্তার করতে টেটা, বল্লম ও রাম দাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হকের সমর্থক বীরগাঁও গ্রামের হারুন মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। হক চেয়ারম্যানের লোকজন পাল্টা জবাব দিলে দুই পক্ষের মধ্যে টেটাযুদ্ধ শুরু হয়। এ সময় তাজুল ইসলামের লোকজন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ২০-২৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেলের বিস্ফোরণে পথচারী লিটন মিয়া (৩০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন আবদুল করিম (৫০), তানভীর আলমসহ (২০) অন্তত ২০ জন। টেটাবিদ্ধ অবস্থায় আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
খবর পেয়ে নরসিংদী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়। লিটনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পরও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে আরো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার খালেদ বিন মালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তবে উচ্ছৃঙ্খল লোকজন একের পর এক ককটেল ও টেটা ছুড়ছে। পরিস্থিতি সামলাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।