লক্ষ্মীপুরে ঝড়ে দেড়শ বাড়িঘরের ক্ষতি
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তিনটি মসজিদ, একটি ভূমি অফিসসহ দেড় শতাধিক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে দুই শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
উপজেলার মেঘনার উপকূলীয় এলাকা সাহেবের হাট, চর কালকিনি ও চর ফলকন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।
ঝড় শুরুর সাথে সাথে জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যায় কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ঝড়ে চর জগবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌধুরীর হাট উচ্চ বিদ্যালয়, চর লরেঞ্চ মহিলা দাখিল মাদ্রাসাসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এবং চরকালকিনি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন কমলনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘ঝড়ে দেড় শতাধিক বাড়িঘর সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা অরবিন্দ কিশোর চক্রবর্তী এনটিভি অনলাইনকে জানান, সদর উপজেলার পিয়ারাপুর থেকে কমলনগরের ওপর দিয়ে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলার রামগতির মেঘনা নদীতে বজ্রপাতে ইমাম হোসেন (২৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুই জেলে। নিহত ইমাম হোসেন বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের মাদারতোলা গ্রামের বাসিন্দা।