গম চাষে ‘পরিশ্রমের মর্যাদা’ পাচ্ছেন না কৃষক
মেহেরপুরে এ বছর গমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে হাসি নেই কৃষকের মুখে। কৃষককে গম বিক্রি করতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে। কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, সার, বিষ, মজুর খরচসহ আনুষঙ্গিক জিনিসের মূল্য বাড়লেও, সে হারে বাড়েনি গমের দাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে চলতি মৌসুমে জেলায় ১৭ হাজার ৪১৩ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় গমের ভালো ফলনের আশা করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে কিছু এলাকায় গম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় গমের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগ ৬৯ হাজার ৬৫২ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের আশা করছে।
তবে সার, তেল, মজুর খরচসহ চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। কিন্তু সে হারে বাড়েনি গমের বাজারদর। চলতি মৌসুমে সরকার এক হাজার ১০০ টাকা মণ দরে কৃষকদের কাছ থেকে গম ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে গম না কিনে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনছেন। এতে মুনাফা পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষকরা ব্যবসায়ীদের কাছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে গম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষক জয়নাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি এবার যা গম করেছি, যা খরচ হয়েছে তা উঠছে না।’ অন্য কৃষক মধু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ব্যাপারিরা আমাদের কাছ থেকে ৮০০-৮৫০ টাকা করে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা যে পরিশ্রম করেছি, যে মর্যাদা তো পাচ্ছি না।’
তবে ভিন্ন কথা বলেন মেহেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। সংগ্রহ করাও প্রায় শেষ। ৯২ শতাংশ কাটা হয়ে গেছে। ফলনও এবার পাচ্ছে খুব ভালো। কৃষকরা খুবই খুশি।’