নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত, নেতাদের হাতাহাতি
নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভা ও কর্মশালায় কেন্দ্রীয় কমিটি এ ঘোষণা দেন। এর জের ধরে সভায় জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক রেহানুল ইসলাম ভূঞা লেলিনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভা ও কর্মশালা শুরু হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভার প্রথম দিন প্রধান অতিথি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিকট জেলা ছাত্রলীগের বিভক্তি ও দুদর্শার চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেহানুল ইসলাম ভূঞা লেলিন।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন পৃথকভাবে সাংগঠনিক কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয় জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। কেন্দ্রীয় কমিটি এর কারণ জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রেহানুল ইসলাম ভূঞা লেলিন জানান, জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুন নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন। এ কারণে সাংগঠনিক বিষয়ে মতের মিল হচ্ছে না । ফলে আহ্বায়ক এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক ইসহাক খলিল বাবু এ দুজন নিজেদের মর্জিমতো জেলায় ছাত্রলীগ চালাচ্ছে।
জবাবে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক রেহানুল ইসলাম ভূঞা লেলিন নরসিংদী থাকেন না, ঢাকা থাকেন। তাই তাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করা যাচ্ছে না।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আল-আমিন ভূঞা জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সভায় প্রথমে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি স্থগিতের ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর জের ধরে সভায় জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী মামুন এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক রেহানুল ইসলাম ভূঞা লেলিনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাদেরকে অধিবেশনস্থল থেকে বের করে দেয়।
পরে সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্য জেলার ছাত্রলীগের নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন।