যৌতুকের কারণে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় গতকাল সোমবার রাতে গোলাপী রানী (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যৌতুকের কারণে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গোলাপীকে হত্যা করেছে বলে তাঁর বাবা দিলীপ সরকার অভিযোগ করেছেন।
গোলাপী উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের অতুল কুমারের স্ত্রী ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার কলেজপাড়া গ্রামের দিলীপ সরকারের মেয়ে। মহিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকেই গতকাল রাত ১০টায় গোলাপীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম এনটিভিকে জানান, এ ঘটনায় গোলাপীর বড় ভাই রতন সরকার আজ মঙ্গলবার সকালে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
গোলাপীর একাধিক প্রতিবেশী এনটিভিকে জানান, দুই বছর আগে অতুল ও গোলাপীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে গোলাপীর ওপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। সোমবার সন্ধ্যায় অতুল কুমার যৌতুক দাবি করে গোলাপীকে তাঁর বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এতে গোলাপী রাজি না হলে স্বামী অতুল কুমার গোলাপীকে মারধর করেন। এ সময় গোলাপী অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন গোলাপী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে প্রতিবেশীদের জানান।
দিলীপ সরকার এনটিভিকে জানান, যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় তাঁর মেয়েকে স্বামী, ভাই ও শাশুড়ি শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করে। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গোলাপীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আজ দুপুর ১২টার দিকে গোলাপীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।