পুত্রবধূকে আগুন দেওয়ার অভিযোগে শাশুড়ি আটক
ময়মনসিংহে এক গৃহবধূর শরীরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ। ঘটনার ১৬ দিন পর গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দগ্ধ জামিনা বেগম (১৯) ও তাঁর পরিবারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুল হুদা এনটিভি অনলাইনকে জানান, সদর উপজেলার চরইশ্বদিয়ার চরহরিপুর গ্রামে গত ২১ মার্চ এ ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতে স্বামীর পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন জামিনা। সকালে শরীরে আগুন ধরে গেলে জেগে ওঠেন। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলেও জানান এসআই।
হাসপাতালে জামিনার বাবা মোহাম্মদ আলী এনটিভি অনলাইনকে জানান, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে নুরুল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় জামিনার। বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি কমলা বেগম (৩৫) ফের যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।
এদিকে, শাশুড়ি কমলা বেগম তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন জামিনা। তিনি জানান, হাসপাতালে এসে মিথ্যা কথা না বললে বিষের ইনজেকশন দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন কমলা বেগম।
এ বিষয়ে জামিনার স্বামী রাজমিস্ত্রি নুরুল আমিন মোবাইল ফোনে এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি নিজে তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে পাঁচ হাজার টাকার ওষুধ কিনে দিয়েছেন। অথচ এ ঘটনায় তাঁর ও তাঁর মায়ের নামে মামলা করা হয়েছে।