মালামাল ক্রোকের ব্যাপারে আদালতকে জানায়নি পুলিশ
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলার আসামিদের মালামাল ক্রোকের ব্যাপারে আদালতকে জানায়নি পুলিশ। এ জন্য মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ জুলাই।
মামলার বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন জানান, বিস্ফোরক মামলার যেসব আসামির মালামাল ক্রোকের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকর করা হয়েছে কি না তা আজ মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালতকে জানানোর কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ আদালতকে তা জানায়নি। কারাবন্দি কোনো আসামিকেও আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে জামিনে থাকা মামলার সাত আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক জেলা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলার কার্যক্রমের পরবর্তী তারিখ ২৭ জুলাই নির্ধারণ করেন।
বিস্ফোরক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র জি কে গউছ, হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ আসামি কারাগারে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন আটজন। এ ছাড়া বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ ১০ জন পলাতক।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিচারক জেলা জজ মো. আতাবুল্লাহ বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১০ আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন। এ ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।