নরসিংদীতে গৃহহীনদের পাকা ঘর দিলেন কাদির মোল্লা
নরসিংদীতে সাত গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিলেন শিল্পপতি আবদুল কাদির মোল্লা। তাঁর মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে প্রত্যেক পরিবারকে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, নলকূপ, ল্যাট্রিনসহ পাকা ঘর করে দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার জেলার ছয়টি উপজেলায় সাতটি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মনোহরদী-বেলাব আসনের সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন, শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরিফ মৃধা, রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, পিআইবির সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাভিশন চ্যানেলের পরিচালক ড. আবদুল হাই সিদ্দিকী, মনোহরদী পৌরসভার মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মশিউর রহমান মৃধা, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোরশেদ শাহরিয়ারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
প্রায় ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের গৃহায়ন প্রকল্পের আওতায় এই ঘর দেওয়া হয়। জেলার বিভিন্ন গৃহহীন পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া আবেদনের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গৃহহীনদের এই ঘর দেওয়া হয়।
মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন থেকে ঘর পাওয়া সদর উপজেলার ভাগদী মহল্লার রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ও আমার বিয়ের উপযুক্ত চার মেয়েকে নিয়ে একটি ভাঙা ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করতাম। এক ভাঙা ঘরে আমি, আমার স্ত্রী ও মেয়েরা পালা করে ঘুমাতাম। ফুসফুসের জটিল রোগের কারণে আমি কোনো কাজ করতে পারতাম না। বিয়ের উপযুক্ত চার মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। আবদুল কাদির মোল্লা সাহেবের কাছে আমি আমার কষ্টের কথা উল্লেখ করে আবেদন করি। তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে আমাদের জন্য এই ঘরখানা করে দেন।’
আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, ‘আবাসন ব্যবস্থা মানুষের একটি অন্যতম মৌলিক চাহিদা। তাই আমি আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। এর আগে আমি ঘর করার জন্য টিন দিতাম। সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার হতো না। তাই এবার পরিপূর্ণভাবে থাকার জন্য ঘর করে দিচ্ছি।’
এ সময় আবদুল কাদির মোল্লা আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার সময় আমাদের একটি ঘর ছিল। উপযুক্ত ভাই-বোন ও মাকে নিয়ে খুব কষ্টে থাকতাম। ঘর না থাকার কষ্ট আমি খুব ভালো বুঝি। তাদেরকে ঘর করে দিয়ে খুব আনন্দ পাচ্ছি।’
আবদুল কাদির মোল্লা আরো জানান, ঈদের পর আরো ৮৪টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর করে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পাশের জেলাগুলোতে দুস্থ, অসহায় ও গৃহহীনদের মধ্যে এই ঘর বিতরণ করা হবে।