শেরপুরে দাফন করতে দেবেন মুক্তিযোদ্ধারা
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা জামায়াতে ইসলামীর নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে শেরপুরে দাফন করতে দেবেন মুক্তিযোদ্ধারা। দাফনে প্রতিহত করার পরিবর্তে তাঁরা এখন বিজয় মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যার পর জেলা প্রশাসনের সাথে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন বলেন, ‘জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল শুরুতে কামারুজ্জামানকে শেরপুরে দাফন করার ক্ষেত্রে প্রতিহত করার ঘোষণা দিলেও আমাদের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’
আজ শনিবার রাত সাড়ে ১০টার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের ফাঁসি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে আজ দুপুরে তাঁর বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ওনার (কামারুজ্জামানের) শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী শেরপুরে ওনার প্রতিষ্ঠিত কুমরী বাজিতখিলা এতিমখানার পাশেই তাঁকে কবর দেওয়া হবে।’
এর আগেই জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু সাংবাদিকদের জানান, ‘জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ তাদের আমরা এর আগে আহ্বান জানিয়েছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, কামারুজ্জামানের লাশ যেন শেরপুরে না আনা হয়। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্মঘট, অবরোধ, হরতালসহ মিছিল-মিটিং করে এটা আমরা প্রতিহত করব। এটাই আমাদের ঘোষণা।’
তাঁর সাথে একমত প্রকাশ করে শেরপুরের সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘নুরুল ইসলাম হীরু মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে কামারুজ্জামানের লাশ শেরপুরে দাফন না করার যে দাবি জানিয়েছেন তাঁর সাথে আমরা একমত।’
মুক্তিযোদ্ধাদের কথা শোনার পর কামারুজ্জামানের বড় ভাই তাজুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘আমরা আমাদের ভাইয়ের লাশ শান্তিমতো দাফন করতে চাই। প্রশাসন যেন আমাদের শান্তিতে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে দেয়।’
এরপরই সন্ধ্যার পর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাথে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। তিনি কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হলে লাশ সুষ্ঠুভাবে শেরপুরে দাফন করতে দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা চান। এবং তাঁদের প্রতিহত করার ঘোষণা থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান।
বৈঠক শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রশাসনের অনুরোধ আমরা মেনে নিয়েছি। কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর জেলা শহরে বিজয় মিছিল করা হবে।’