নরসিংদীতে সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতার মৃত্যু
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চানপুর ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আহত দলটির নেতা মোহাম্মদ আবদুর রহিম (৩৫) মারা গেছেন।
আজ রোববার ভোর ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রহিম মারা যান বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের রায়পুরা উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ কাদির জিলানী।
আবদুর রহিম উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঈদের পরদিন প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছিলেন।
এদিকে রহিমের লাশ এলাকায় আনতে বাধা ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা জিলানী। তিনি আরো জানান, রহিমের বাবা নাজিম উদ্দিনও মারাত্মক আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আবদুর রহিম মারা গেছেন। তাঁর লাশ নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কেউ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঈদের আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কাদির জিলানী এবং চানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এরই জের ধরে গত শুক্রবার বাবুল মিয়ার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কালিকাপুর গ্রামে হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রায় ১০০ বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বেশ কয়েকজনকে।
আহতরা হলেন আবদুর রহিম, তাঁর বাবা নাজিম উদ্দিন (৫৫), অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিপা বেগম (১৪), তাজুল ইসলাম (৪৭) ও শহিদ মিয়া (৫৫)।
এখনো ওই এলাকায় থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এলাকার বেশ কিছু পরিবারের সদস্য হামলার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।