পয়লা বৈশাখে ময়মনসিংহে রওশন এরশাদ
ময়মনসিংহে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি। শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বৈশাখী মঞ্চে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে রওশন বলেন, ‘বাংলাদেশে সব জায়গাতেই আজ, বিশেষ করে একটি দিনে সারা জাতি, সারা দেশ আনন্দমুখর। আমাদের দেশে যতগুলো উৎসব আছে—পূজা হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের, ঈদ হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের, ক্রিসমাস হয় খ্রিস্টানদের। নতুন নববর্ষ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষ, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলে এটা পালন করা হয়। সে জন্য সারা বাংলাদেশের মানুষ, পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যেখানে বাঙালিরা আছে, সবাই একসঙ্গে দিবসটি পালন করে থাকেন।’
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘ধর্মীয় ও উৎসব অনুষ্ঠান যার যার, বৈশাখ সবার।’
নববর্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, ঘোড়দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, ঘুড়ি ওড়ানো, নৌকাবাইচ, রশি টানাটানিসহ তিন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে ময়মনসিংহ বর্ষবরণ উদযাপন পর্ষদ।
বৈশাখী মঞ্চে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, মেয়র ইকরামুল হক টিটু প্রমুখ। এর আগে সকালে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।
সকালে শহরের ঐতিহ্যবাহী মুকুল নিকেতন স্কুল থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় শোভা পায় আবহমান বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের সব ধরনের উপকরণ, যেমন—ধান ও সবজি চাষের সব উপকরণ গরু, মহিষ, লাঙল, কোদাল, কাঁচি; মাছ ধরার জাল, নৌকা, বড়শি; ধান ভাঙার ঢেঁকি, কোলা এবং ঘাস কাটার বঁটি, কাঁচি ও চাঁড়ি। এ ছাড়া কামার, কুমার, তাঁতি, জেলেসহ সব পেশার মানুষ তাঁদের নিজস্ব পেশার উপকরণ নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
ঢাকঢোল, বাঁশি, একতারা, তানপুরাসহ বাঙালি সংস্কৃতির সব উপকরণ নিয়ে সংস্কৃতিকর্মীরা যোগ দেন শোভাযাত্রায়। নানা রঙের মুখোশ পরে ছোট্টমণিরাও অংশ নেয়।