উল্টোপথে ট্রেন : চালক ও সহকারী রিমান্ডে
রাজবাড়ীতে চালক ছাড়াই উল্টোপথে ট্রেন চলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইঞ্জিনচালক মোহাম্মদ আলী ও সহকারী চালক ফয়সাল আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ বুধবার রাজবাড়ীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে রেল পুলিশ (জিআরপি) সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক আবু হাসান খায়রুল্লাহ দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেন বিচারক।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নাশকতার মামলায় ইঞ্জিনচালক মোহাম্মদ আলী, সহকারী চালক ফয়সাল আহমেদ ও গার্ড সুভাষ চন্দ্র শর্মাকে আদালতে হাজির করে তিনজনেরই সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত দুজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
অপরদিকে তাঁদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান ওসি।
গত রোববার ৮৩ নম্বর আপ ট্রেনটি সকাল ৮টা ১০ মিনিটে রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর আগেই চালক ট্রেনের ইঞ্জিন চালু করে নিচে চা খেতে নামেন।
এ সময় হঠাৎ ট্রেনটি ফরিদপুরের দিকে না গিয়ে পেছনে কুষ্টিয়ার দিকে চলতে শুরু করে। এভাবে ট্রেনটি প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সূর্যনগর, বেলগাছী, কালুখালী ও পাংশা—এই চার স্টেশন পার হয়ে যায়।পরে বিষয়টি টের পেয়ে টিকিট চেকার আনোয়ার হোসেন বগির কট খুলে দিলে ট্রেনটি থেমে যায়। ঘটনা তদন্তে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ঘটনার একদিন পর গত সোমবার রাজবাড়ীর স্টেশন মাস্টার মো. কামরুজ্জামান এই তিনজনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। তারপরই রাত ১০টায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় বলা হয়, চালক মোহাম্মদ আলী ও ফয়সাল আহমেদ জামায়াত-শিবিরপন্থী। তাঁরা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণসহ সরকারি সম্পদ এবং প্রাণহানির মতো নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড করে একটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা করেছিলেন।