সামরিক শাসন নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না : গওহর রিজভী
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভি বলেন, সামরিক শাসন, সামরিক হস্তক্ষেপ-এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না। এগুলো সিভিল-মিলিটারির সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো বিষয় হতে পারে না। কারণ সুপ্রিম কোর্ট এরই মধ্যে তাঁর রায়ে জানিয়ে দিয়েছেন সামরিক শাসন অবৈধ এবং অসাংবিধানিক।
আজ বুধবার দুপুরে ‘গণতন্ত্রে সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত-এমন একটি বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার জন্য সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষণা সংস্থা বিআইআইএস। সামরিক-বেসামরিক সম্পর্কের মধ্যে সেনা অভ্যুত্থান, সেনা শাসন এই বিষয়গুলো কোনোভাবেই থাকতে পারে না বলে মত দিলেন বক্তারা।
প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো বহু বছর এখানে অগণতান্ত্রিক শাসন ছিল। এটি অস্বীকার করা সুযোগ নেই। গণতন্ত্র না থাকায় বিভিন্ন সময় জাতীয় স্বার্থের বিষয়গুলো পাল্টে গেছে। যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর প্রভাবে আমরা এখন সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদের মতো বিষয়গুলো দেখছি।’
সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ককে অর্থপূর্ণ করার জন্য আলোচকদের কেউ কেউ জোর দেন সত্যিকারের গণতন্ত্র এবং পেশাদারত্বের ওপর।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র থাকে এবং সশস্ত্র বাহিনীর সর্বস্তরে পেশাদারত্বকে বাধা দেওয়া না হয়। তবে সিভিল-মিলিটারি সম্পর্কে কখনই দ্বন্দ্ব দেখা দেয় না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি বলছি ব্রিগেডিয়ার পর্যায় থেকে শুরু করে বেসামরিক সব পর্যায়ের বেলায়। এমনকি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা গণমাধ্যমে কোথাও পেশাদারত্ব নেই। এটাই হলো মূল ইস্যু।’
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আমর্ড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।