রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপাধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ শফিউল আলমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে কলেজ উপাধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক ড. মো. ইয়ামিন রেজা নিউটন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, ড. ইয়ামিন রেজার ছেলে স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র স্বাধীন দীপ্র ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ছেলে সিঞ্জনকে গত শুক্রবার দুপুরে স্কুল ক্যাম্পাসে সিগারেট হাতে দেখেন উপাধ্যক্ষ শফিউল আলম। পরে তাদের নিজ কক্ষে ডেকে শাসন করেন তিনি। সে সঙ্গে অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে স্কুলে ডেকে বিষয়টি জানানো হয়।
অন্যদিকে, ড. ইয়ামিন রেজা ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের ছেলেদের মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন উপাধ্যক্ষ।
এর জের ধরে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা উপাধ্যক্ষের কক্ষে কথা বলতে যান। সেখানে তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ড. ইয়ামিন উপাধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে সূত্র জানায়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপাধ্যক্ষ।
এ বিষয়ে উপাধ্যক্ষ শফিউল আলম বলেন, ‘সিগারেট হাতে ধরা পড়ায় দীপ্র ও সিঞ্জনকে সতর্ক করে দিই। পরে সিঞ্জনের বাবা প্রফেসর নজরুল ইসলামকে স্কুলে ডেকে বিষয়টি জানাই। কিন্তু এটাকে অমর্যাদাকর হিসেবে নিয়ে অধ্যাপক ইয়ামিন রেজা ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আমাকে শাসাতে আসেন। এ ছাড়া প্রফেসর নিউটনের ছোট ছেলে ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। এ ঘটনায় তিনি আমাকে দায়ী করে গালাগাল করেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।’
ড. ইয়ামিন রেজা নিউটন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শফিউল আলম আমার ছেলের শিক্ষক। তাঁকে আমি কেন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে যাব? তিনি আমার ছেলেকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন। আমি শুধু তাঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি।’
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে থাকার কথা অস্বীকার করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি শুনেছি, সেখানে উপাধ্যক্ষের সঙ্গে নিউটনের হট্টগোল হয়েছে। আমি স্কুলে গিয়েছিলাম অন্য কারণে। আমি সেখানে ছিলাম না।’ উপাধ্যক্ষ অযথা শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে রাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আলী আহসান বলেন, ‘উপাধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সত্য। ড. ইয়ামিন রেজা উপাধ্যক্ষকে থাপ্পড় দিয়েছেন।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তারা বুধবার সন্ধ্যায় সভা করেছেন বলেও জানান তিনি।