‘আমরা ওই বুড়া গরু খাইতে যাব কেন?’
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশে গরু পাচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ। তাঁর মতে, ‘এতে আমরা গরু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব। পাঁচ বছর পর আর ভারতীয় গরুর দিকে তাকাতে হবে না।’
আজ শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল আজিজ এ কথা বলেন।
মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ বলেন, ‘ওরা গরু দিচ্ছে না। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে না? কোরবানির সময় যখন বেশি গরু আসে, তখন বলে যে আমাদের কৃষকরা সব মারা গেল, সারা বছর গরু পালছে এখন বিক্রি করতে পারে না ইন্ডিয়ান গরু আসার কারণে। এখন ওরা (ভারতীয়রা) বন্ধ করে দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো মনে করি এই সুযোগটা কাজে নেন। কাজে নিয়া আমাদের কৃষকদের উৎসাহিত করেন। আমরা যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি, একদিন গরু উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব। আমরা ওই (ভারতীয়) বুড়া গরু খাইতে যাব কেন?। আমরা নিজেরা গরু উৎপাদন করব। পাঁচ বছর আমাদের আর ভারতীয় গরুর দিকে তাকাতে হবে না।’
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ১ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি সীমান্তবর্তী ফাঁড়ি পরিদর্শনের সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের জওয়ানদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা সীমান্তে কঠোর নজরদারি বজায় রাখুন, যেন বাংলাদেশে গরু পাচার একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়, যাতে করে দেশটির মানুষ গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে পুলিশ ও প্রশাসন যতদিন মনে করবে, ততদিনই বিজিবি মাঠে থাকবে।’ এ ছাড়া সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে ভারত ও বাংলাদেশ একসাথে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
পরিদর্শনের সময় মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন বিজিবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাহাফুজার রহমান, সেক্টর কমান্ডার জুলফিকার আলী, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম এবং লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আহমেদ বজলুর রহমান হায়াতী।