‘টকশো করে স্বপ্ন দেখে লাভ নেই’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘টকশো করে নানাভাবে ওই সমস্ত (জরুরি অবস্থার) স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ হবে না। দেশকে আবার ওই ধরনের একটা অসাংবিধানিক পন্থায় আমরা কখনো ছেড়ে দিতে দিব না, বা জনগণও চায় না, চাইবে না।’
আজ বুধবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে টকশো নিয়ে এক প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এটা করতে চায় জনগণই রুখে দিবে। কাজেই অলৌকিক স্বপ্ন দেখে দেখে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া, অন্তত আমাদের রক্ত থাকতে হতে দিব না।’
জাতীয় সংসদে আজ প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কাছে টেলিভিশনে টকশো বন্ধ করার দাবি জানান বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি থেকে টকশোগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাসী কাজের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এ আন্দোলনের নামে যারা সন্ত্রাসী (কর্মকাণ্ড) করছে; তাদের যেভাবে উসকানি এবং মদদ দিচ্ছে; টকশোর মাধ্যমেই তা করা হচ্ছে। এরাই মানুষকে উসকানি দিচ্ছে, যারা যারা সন্ত্রাসী করছে, বোমাবাজি করছে তাদের এরা উসকানি দিচ্ছে। মানুষ টকশো দেখে এবং সে উসকানিতে যায়।’ তিনি টকশোগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন।
এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁরা টক শো করেন তাঁদের শুভবুদ্ধি হবে কি না বা তাঁদের বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়াটা কে দিবে? আমার দ্বারা তো... (না-সূচক মাথা নাড়ান)। কারণ তাদের টার্গেট তো আমি। বেশির ভাগই আমার বিরুদ্ধেই বলে। যেটা আমি দেখি। কাজেই কে তাঁদের বোঝাবে? এর মধ্যে কিছু লোক আছেন, তাঁরা বসে আছেন, গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা থাকলে উনাদের খুব একটা ভালো লাগে না। অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় আসলে তাঁদের গুরুত্ব বাড়ে। কখনো অসাংবিধানিক পন্থা আনা যায় কি না সে চেষ্টায় (তাঁরা) ব্যস্ত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু তাঁরা ভুলে গেছেন এবারের পার্লামেন্টে সংবিধানে সংশোধনে সপ্তম অনুচ্ছেদে যে ‘খ’ ধারা যুক্ত হয়েছে সেই ‘খ’ ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে, কেউ যদি সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে, তাহলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। এমনকি এখানে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের (মৃত্যুদণ্ড) ব্যবস্থা আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘টকশোওয়ালাদের ব্যাপারে আমি জানি না। ওই টক কথা বলা তাঁদের অভ্যাস। এ ব্যাপারে বিরোধী দলকে বলব, আপনারাই বলেন... যা পারেন।’