খুলনায় তন্নীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
খুলনায় গৃহবধূ সারাহ্ ফারগুশান তন্নী হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে জন-উদ্যোগ ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উদ্যোগে এই মানববন্ধন করা হয়। এই সময় ত্ন্নী হত্যার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
জন-উদ্যোগ খুলনার উপদেষ্টা ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল সিংহ রায়ের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সম্বন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম ও জন-উদ্যোগ খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নিহত তন্নীর মা সামিমা আখতার, ফুফু জেসমিন জামান ও মামা আসাদুজ্জামান, সিপিবির মহানগর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, ন্যাপের সহ-সভাপতি দীপক কর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অলোকানন্দ দাস, নারীনেত্রী শামীমা সুলতানা শীলু, আমরা খুলনাবাসীর সভাপতি ডা. নাসির উদ্দিন, পোলট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, সেফের নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল রায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিডিপির ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সুইফট-এর সীমা রায়, নাগরিক ফোরামের সাব্বির খান, এস এ রহিম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বামী সোহেল বিশ্বাস ও ননদ ইতি বিশ্বাস তন্নীকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে। এটাকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তন্নীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের আঘাত ও ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় চিকিৎসকের ওপর প্রভাব খাটিয়ে এই হত্যাকে আত্মহত্যার প্রতিবেদন তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা। এমনকি আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রুজু করার অভিযোগে বাদী ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে মামলার আসামিরা। মানববন্ধনে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।
গত ৭ এপ্রিল জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গাফফার বিশ্বাসের পুত্রবধূ তন্নীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই থেকে তন্নীর মাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছে।