পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর আটমাইল নামক স্থানে বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে শিশুসহ তিনজন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঈশ্বরদীর রহিমা খাতুন, ডলি খাতুন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক কালাম হোসেন। আহতদের সবাই অটোরিকশার যাত্রী।

পুলিশ জানায়, পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের আট মাইল নামক স্থানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পাবনা সার্কেলের একটি দল বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছিল। সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে পাবনাগামী সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ওই স্থানে পৌঁছালে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা অটোরিকশাকে থামার জন্য সংকেত দেয়। একই সময় একই দিক থেকে আসা পাবনাগামী সোনার বাংলা নামের যাত্রীবাহী একটি বাসকে থামার জন্য সংকেত দিলে বাসটি অটোরিকশার ওপর উঠে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। অপর তিনজন আহত হয়। আহত ব্যক্তিরা হলো নাটোরের লালপুর উপজেলার বারেক (৫০), শফি (৪০) ও পাবনা শহরের গোবিন্দা এলাকার রিয়া (১৩)। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে।

এ ঘটনার পর গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় আধা ঘণ্টা পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। পরে র‌্যাব, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে এবং এলাকাবাসীকে শান্ত করে অবরোধ তুলে দেয়। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক বলেন, খবর পেয়ে র‌্যাব, পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করে অবরোধ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।