কারণ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী প্যানেলের চার প্রার্থীকে আটক করার কারণ জানিয়েছে পুলিশ। নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক ব্যবসায়ীরা হলেন সাইদুর রহমান ঠাণ্ডু, মোস্তফা গোলাম কাদের, সাজেদুর রহমান সুজা ও মকসেদ আলী। তাঁদের মধ্য সাজেদুর যশোর চেম্বারের বিগত কমিটির সহসভাপতি ও সাইদুর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। নির্বাচন থেকে বিরত রাখতেই পুলিশ গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তাঁদের আটক করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা আজ মঙ্গলবার শহরের আর এম রোড, ভোলা ট্যাংক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট বন্ধ রেখে দুপুর ১২টায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন; পরে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এনটিভি অনলাইনকে জানান, আগামী ১৬ মে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নিতে এরই মধ্যে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইও হয়ে গেছে। ২৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ অবস্থায় বিএনপিপন্থী প্যানেলের ব্যবসায়ীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য কয়েক দিন ধরে একটি মহল বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে পুলিশ গতকাল সোমবার রাতভর ওই প্যানেলের প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালায় এবং চার ব্যবসায়ীকে আটক করে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
ব্যবসায়ীদের আটকের কারণ জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাস আলীর মুঠোফোনে কল দিলে উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী নেতাদের কী কারণে আটক করা হয়েছে, তা আমি বলতে পারব না। ওসি স্যারসহ সিনিয়র অফিসাররা সারা রাত অভিযান চালিয়েছেন। এখন রেস্টে আছেন। তাঁরা এলে বিষয়টি বলতে পারব।’
পরে ওসিকে আবার ফোন দিলে তিনি জানান, আটকের কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো কথা বলতে পারবেন না। এ ব্যাপারে তাঁর পদস্থ কর্মকর্তারা জানাবেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি থানার ওসি শিকদার আক্কাস আলী বলেন, ‘আটক চারজন নাশকতার পরিকল্পনা করছিল—এমন অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে, যশোর চেম্বার নির্বাচনে বিএনপিপন্থী প্যানেলের নেতা বৃহত্তর যশোর ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোয়ার্দ্দার সাজেদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চেম্বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জেতার জন্য একটি অংশ আমাদের নেতাদের সম্পূর্ণ বিনা কারণে আটক করিয়েছে। যে চারজনকে পুলিশ আটক করেছে, তাঁরা আমাদের প্যানেলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাঁরা না থাকলে আমাদের প্যানেল দুর্বল হয়ে যাবে। আর এ উদ্দেশ্যেই এসব নেতাকে আটক করিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’