বাগেরহাটে হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি
বাগেরহাটে টাকা ও মোবাইল ফোনসেটের লোভে এক ব্যক্তিকে হত্যা ও গুমের দায়ে পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১-এর বিচারক মো. মহিদুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার পাটরপাড়ার রিন্টু মীর (২৩), সুন্দরঘোনা গ্রামের ফয়েজুল চৌধুরী (২০), ফকির জিয়া উদ্দিন জিয়া (২৮), মান্নান মীর (৫২) ও আলফাজ হোসেন রুবেল (২৮)। একই সাথে আদালত তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী মনোয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় সহিদ শেখ (৩৪) নামের এক আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ জুন গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার পাটরপাড়ার মোহেছেন মীরের ছেলে তাজ হোসেন মীর ওরফে তাজকে তাঁর খালাত ভাই রিন্টু মীরসহ কয়েকজন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারপিট করে হত্যা করে। এ সময় তাজের কাছে থাকা একটি অত্যাধুনিক মোবাইল ফোনসেট ও ৭৫ হাজার টাকা তাঁরা নিয়ে যায় এবং লাশ গুম করে ফেলে।
এ ঘটনার ১০ দিন পর তাজের সন্ধান না পেয়ে তাঁর মা মুসলিমা বেগম বাগেরহাট সদর থানায় ভাগ্নে রিন্টুসহ চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
রিন্টু মীর পুলিশের হাতে আটকের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন এবং রিন্টুর দেখানো স্থান থেকেই পুলিশ তাজের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর বাগেরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আসামিপক্ষে মামলা লড়েন এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু এবং মাহবুবুর রহমান লাবু।