নোয়াখালী শিশু পরিবারে ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ
নোয়াখালী শিশু পরিবারের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আসমা বেগমকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার মা সেলিনা বেগম। আজ বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের বাগবাড়ি এলাকার একটি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নিহত আসমা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের মেয়ে।
সেলিনা বেগম বলেন, ‘চার বছর আগে পিতৃহারা আসমাকে নোয়াখালী শিশু পরিবারে পড়ালেখার জন্য ভর্তি করি। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে শিশু পরিবারের সুপার শিল্পী ভৌমিক ও নৈশপ্রহরীসহ কয়েকজন শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করে। পরদিন শুক্রবার সকালে শিল্পী মোবাইল ফোনে আমাকে জানান, আসমা অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা নোয়াখালী শিশু পরিবারে যাই। তখন আমাকে জানানো হয়, আসমা আত্মহত্যা করেছে।’
সেলিনা জানান, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তারা তাড়াহুড়ো করে আসমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় শিশু পরিবারের একটি কক্ষে তাঁকে আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলা হয়। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর করে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং তাঁর কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এ সময় একটি বাক্সে আসমার লাশটি ভরে তাঁকে দেওয়া হয়।
মেয়ের লাশ আবারও ময়নাতদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে সেলিনা আরো বলেন, ‘আসমার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার পর তার হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। তখন গ্রামের অনেকে তা দেখেছে। অর্থের অভাবের কারণে আমি মামলা-মোকাদ্দমা করতে পারিনি। আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
শিল্পী ভৌমিক তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আসমা গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষ করে আসমার লাশ তার মার কাছে হস্তান্তরও করা হয়।’