সারোয়ারের জন্য কনে পছন্দ করে রেখেছিলেন মা
ধর্মের নামে নিরীহ মানুষ মেরে যখন উল্লসিত কতিপয় বিপথগামী সন্ত্রাসবাদী যুবক ঠিক তখন নিজের জীবন দিয়ে রাজধানী ঢাকার দুই তরুণ শিক্ষার্থীর প্রাণ রক্ষাকারী সারোয়ার (২৭)। হোসেনকে দাফন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বরগুনা সদর উপজেলার সাহেবের হাওলা গ্রামে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
গত সোমবার ঢাকার বাড্ডা এলাকার ধামাইখালে ডুবন্ত দুই কিশোরকে উদ্ধার করতে গিয়ে মৃত্যু হয় সারোয়ারের। আজ সকালে সারোয়ারের মরদেহ বরগুনায় এসে পৌঁছালে সকাল ৯টায় জানাজা শেষে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। সারোয়ারের জানাজায় অংশ নেয় জেলা শহরের সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারাসহ কয়েকশ মানুষ।
বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি ইউনিয়নের সাহেবের হাওলা গ্রামের মরহুম মো. আতাহার আলী মৃধার ছেলে সারোয়ারছোট বেলা থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেড়ে ওঠা তাঁর। ঢাকার নতুনবাজার এলাকায় বড়বোন সালমার (৪০) বাসায় থেকে সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন তিনি। বৃদ্ধ মা জাহানারা বেগম (৬০) থাকেন গ্রামের বাড়িতেই। সারোয়ারকে বিয়ে করানোর জন্য এবার মেয়েও দেখে রেখেছিলেন দরিদ্র মা জাহানারা। মায়ের সে আশা আর পূরণ হলো না।
গত সোমবার ঢাকার বাড্ডা এলাকার ধামাইখালে স্রোতের মুখে পড়ে ডুবন্ত দুই কিশোরের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে তাদের উদ্ধারে পানিতে নেমে যান সারোয়ার। গভীর সে খালে তীব্র স্রোতের মুখে দুই কিশোরকে বাঁচিয়ে দিয়ে ক্লান্ত শরীরে একপর্যায়ে স্রোতের টানে হারিয়ে যান তিনি। দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।