কয়লা আমদানি শুরু না হতেই ধর্মঘট, বিপাকে ব্যবসায়ীরা
পরিবেশগত আইনি জটিলতার কারণে প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গোবড়াকুড়া ও কড়ইতলী স্থল শুল্কবন্দর দিয়ে গত ২০ এপ্রিল থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কয়লা আমদানিকারক সমিতির সাথে দ্বন্দ্বের কারণে গতকাল শুক্রবার থেকে ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট পথে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন।
২০১৪ সালের ১৬ মে থেকে হালুয়াঘাটের গোবড়াকুড়া ও কড়ইতলী স্থলশুল্ক বন্দর দিয়ে কয়লা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় মেঘালয় রাজ্য সরকার। কয়লার অভাবে বাংলাদেশে ইটভাটা শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। একের পর এক ইটভাটা বন্ধ হতে থাকে। গাড়ি প্রতি ইটের দাম পাঁচ হাজার টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ হাজার টাকায়। বেকার হয়ে পড়েন হাজার হাজার ইটভাটা শ্রমিক। ধস নামে আবাসন খাতসহ সব ধরনের নির্মাণ শিল্পে। গত ২০ এপ্রিল থেকে কয়লা আমদানি শুরু হলেও বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ময়মনসিংহ মোটরমালিক সমিতির নির্দেশনায় মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে। এতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলসহ সারা দেশে কয়লা পরিবহনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট পথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ লোকজন।
হালুয়াঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাদিম আহমেদ জানান, অঘোষিত এই ধর্মঘট অযৌক্তিক, মনগড়া এবং বেআইনি। এতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও ভোগান্তি হচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও হালুয়াঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিয়াজ উদ্দিন রজব আলী বলেন, নিম্নমানের কয়লা সরবরাহ করায় নোয়াখালীর মাইজদী ও শেরপুরের কামালপুরে কয়লাবাহী ট্রাক আটক ও পাল্টা আটকসহ শ্রমিক হয়রানির ঘটনায় গোবড়াকুড়া স্থল শুল্ক বন্দরের কয়লা আমদানিকারক সমিতির মহাসচিব কোনো ভূমিকা পালন না করার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। কয়লা আমদানিকারকরা সমঝোতায় না আসা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।