বরগুনায় হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
বরগুনার চাঞ্চল্যকর মাধব হত্যা মামলায় আজ সোমবার দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জলিলুর রহমান কালু ও শহিদুল ইসলাম।
বরগুনার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আক্তারুজ্জামান বাহাদুর জানান, বরগুনার মাইঠা কড়ইতলা গ্রামের মাধব চন্দ্র বরগুনাতে ঢাকা জর্দা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ২০০৫ সালে ২৬ মার্চ তিনি পাওনা টাকা আদায়ের জন্য পাথরঘাটা যান। ওই দিন পাথরঘাটা পৌরসভার জলিলুর রহমান কালু ও শহিদুল ইসলাম তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মাধবের লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তিন দিন পর পাথরঘাটার হোগলাপাশা গ্রামের ভারানী খাল থেকে মাধবের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। সে দিনই জলিলুর রহমান কালুকে আটক করা হলে সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে। জলিলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শহিদুল ইসলামকেও পরে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় মাধবের বাবা কানাই চন্দ্র হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ আদালত ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। হত্যার অভিযোগে দুজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে লাশ গুমের অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর আসামিদের বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আক্তারুজ্জামান বাহাদুর। আসামিপক্ষে ছিলেন কমল কান্তি দাস ও মজিবুর রহমান।