বরগুনায় অপহরণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বরগুনায় এক কিশোরীকে অপহরণ করার দায়ে রবিউল ইসলাম মামুন নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এক স্কুল শিক্ষিকাসহ অপর তিনজনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুলফিকার আলী এ রায় দেন। এ মামলার অন্য তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে বরগুনার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম মামুনকে (২৮) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০৩-এর সাত ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৯ এর এক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মামুনের বড় বোন ইরানি বেগম (৩৩) ও তাঁর ছেলে মো. বাদল (৩৭) এবং মামুনের বন্ধু পিটিআই রোডের বাসিন্দা মো. কালামের ছেলে মো. রুবেলকে (২৮) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩-এর ৭ ও ৩০ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ইরানি বেগম বরগুনার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ মে বরগুনার ডিকেপি রোডের বাসা থেকে এক কিশোরীকে তার মা অসুস্থ বলে বাসা থেকে নিয়ে যায় মামুন ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই কিশোরী। এ ঘটনায় অপহৃত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এ ঘটনার তিন মাস পর ঢাকার পল্লবীর একটি বাসা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এ মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতেও এ রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল আজিজ জানান, সঠিক স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ন্যায় বিচারের জন্য তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।