টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীর করা ধর্ষণের মামলায় প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল মডেল থানায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী মামলা করেন। এর পরই পুলিশ শিক্ষক আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয় টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান।

আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক নাসরিন সুলতানা ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানান ওই চিকিৎসক।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষক আব্দুর রহিম একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া ওই শিক্ষক অশ্লীল ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী ছাত্রী গতকাল বুধবার সকালে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এ সমাবেশ করে। একপর্যায়ে তারা ইনস্টিটিউটের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  পুলিশ কর্মকর্তারা সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ দিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ গতকাল জরুরি সভা ডেকে শিক্ষক আব্দুর রহিমকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান।