ফারুক হত্যা মামলার দুই আসামি জেলহাজতে
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আরো দুই আসামি সাবেক কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ ও যুবলীগকর্মী নূরু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১- আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ওই দুজন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া জামিন না মঞ্জুর করে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল- ৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠান। পরের দিন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগার ১-এ স্থানান্তর করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের- ৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান খান মুক্তি, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১৪ জনকে আসামি করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত অভিযোগপত্র দাখিল করে টাঙ্গাইল পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
পরে গত ৬ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। জ্যেষ্ঠ মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম গ্রেপ্তারের এ আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আনিসুল ইসলাম রাজা, কবির হোসেন, সাবেক কমিশনার মাসুদ মিয়া, চাঁন, নুরু, সানোয়ার হোসেন, দাত ভাঙ্গা বাবু, ফরিদ হোসেন, আব্দুল হক ও সমির হোসেন।
মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও সমির হোসেন আগেই গ্রেপ্তার হয়ে টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছেন। এক আসামি ফরিদ হোসেন কিছুদিন আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। আরেক আসামি আব্দুল হক পলাতক অবস্থায় কয়েক মাস আগে খুন হয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন।