রাজবাড়ীতে ‘অস্ত্র’ উদ্ধারের সময় একজন গুলিবিদ্ধ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল এলাকায় ‘অস্ত্র উদ্ধার’ অভিযানের সময় কুদ্দুস মণ্ডল নামের একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অভিযানের সময় একটি ওয়ান শুটারগান, চারটি কার্তুজ জব্দ করা হয়। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া কুদ্দুস মণ্ডল চরমপন্থী সংগঠন এমএল লাল পতাকার (পূর্ব বাংলার সর্বহারা) রাজবাড়ী অঞ্চলের প্রধান। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়ী ক্যানেল পাড়ে।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে কুদ্দুস মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি মাটির নিচে পুতে রাখা অস্ত্রের কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁকে নিয়ে রাতেই পুলিশ কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেওয়া গ্রামে একটি বাড়ির কলাবাগানের মাটির নিচে পুতে রাখা অস্ত্র উদ্ধার করতে যায়। এ সময় ওত পেতে থাকা চরমপন্থী কুদ্দুস বাহিনীর অন্য সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় কুদ্দুস মণ্ডলের বাঁ পায়ে গুলি লাগে। পুলিশও পাল্টা ১১টি গুলি ছোড়ে। অভিযানের সময় একটি ওয়ান শুটারগান ও চারটি কার্তুজ জব্দ করা হয়।
ওসি আরো জানান, এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে দুজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। কুদ্দুস মণ্ডলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কুদ্দুস মণ্ডলের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় হত্যা, অস্ত্রসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। গতকাল সোমবার রাতের ঘটনায় পাংশা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।