একটাই জবাব, সেটা হচ্ছে অস্ত্র দিয়ে : জয়
বিএনপি যা করছে তা রাজনীতি নয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, ‘এই (যে) পেট্রল দিয়ে মানুষ পোড়ানো, এটা সন্ত্রাস। এটা জঙ্গিবাদ। এটাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা যায় না। জঙ্গিবাদের একটাই জবাব দেওয়া যায়, সেটা হচ্ছে অস্ত্র দিয়ে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘সন্ত্রাস বনাম রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেন। সুচিন্তা ফাউন্ডেশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সজীব ওয়াজেদ হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘তোমরা যদি বেঁচে থাকতে চাও, তাহলে মানুষ পোড়ানো থামাও। না হলে আমরা তোমাদের ধরবই, সেটা জ্যান্ত হোক বা যেভাবেই হোক।’
যারা সংলাপ চায়, সংলাপের কথা বলে তাদের ‘পাগল’ উপাধি দিয়ে জয় বলেন, ‘মানুষ পোড়ানো বোমাবাজদের সাথে কোনো সংলাপ হবে না।’
জয় বলেন, ‘খালেদা জিয়া আজ কী করছেন? আপনারা দুই দিন আগে দেখেছেন ইরাকে আইসিস (ইসলামিক স্টেট) জর্ডানের এক এয়ারফোর্স পাইলটকে কীভাবে নৃশংস ভাবে পুড়িয়ে মেরেছে। খালেদা জিয়া-জামায়াত ঠিক সেভাবে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। আমি সুশীল বাবুদের কাছ থেকে জানতে চাই, আপনারা কি জর্ডানের রাজাকে বলবেন আইএসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে? না।’
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ডেইলি স্টার ও ইনডিপেনডেন্ট সংবাদপত্রে আজ পড়লাম, সন্ত্রাসী যারা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে তারা সন্ত্রাসী ছিল না। তারা বিএনপি- জামাতের লোক ছিল। এ পর্যন্ত যে কয়জন বোমা, পেট্রল নিয়ে ধরা পড়েছে সবই তো বিএনপি-জামায়াতের। এই যে সন্ত্রাসীরা পুলিশের সাথে মুখোমুখি হয়ে নিহত হলো তার জন্য আজ ডেইলি স্টার হায় হায় করছে। সন্ত্রাসীদের প্রাণের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করছে। তাহলে তাদের উদ্দেশ্য কী? এই সন্ত্রাসীদের বাঁচানো।’
জয় বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৫০০ জন মানুষ মারা যায়। হয়তো বছরে একজন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়; তাও সবার বিরুদ্ধে হয় না। তখন তো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিছু বলে না। বিষয়টি হচ্ছে সাদা চামড়ার জন্য এক নিয়ম, আর আমাদের জন্য আরেক নিয়ম।’