‘ধর্ষণের’ পর হত্যা, লাশ মিলল ভুট্টাক্ষেতে
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ বাড়ি থেকে উধাও। এ বাড়ি-ও বাড়ি থেকে পুরো গ্রামে সারা রাত খুঁজেও বাড়ির লোকজন দেখা পায়নি শিশুটির। এরপর সকাল হয়। খোঁজ মেলে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টাক্ষেতে। জীবিত নয়, মৃত অবস্থায়।
শিশুর নাম রিনা আক্তার। বয়স ১২ বছর। ঝরে পড়া বা কর্মজীবী শিশুদের নিয়ে পরিচালিত একটি আনন্দ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত সে।
ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম ঠ্যাংঝাড়ায়। আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
গ্রামবাসীর ধারণা, শিশু রিনাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। পুলিশও প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধে হত্যার ধারণা করে বলছে, ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল কি না।
হত্যার শিকার ওই শিশুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, রিনার বাড়ি মূলত পাশের পাটগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাটে। বাবা-মা মারা গেলে বছর পাঁচেক ধরে ঠ্যাংঝাড়া এলাকার জলিলুর রহমান সরকারের পালিত মেয়ে হিসেবে তাঁর বাড়িতে ছিল এবং তাঁকে বাবা বলে ডাকত। ঘর-সংসারের কাজ করার পাশাপাশি লেখাপড়াও করত রিনা।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজ করেও বাড়ির লোকজন তার সন্ধান পায়নি। তবে আজ শনিবার সকালে মেয়েটির লাশ বাড়ির অদূরের একটি ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি নিয়ে বিকেলে হাতীবান্ধা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভুট্টাক্ষেতে উপুড় হয়ে পড়েছিল লাশটি। গায়ের জামার অনেকটাই ছিল ছেঁড়া। মেয়েটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে বলে তাঁরা ধারণা করা হচ্ছে। পালিত মেয়েকে হারিয়ে জলিলুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাকির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরই বলা যাবে।’