টাঙ্গাইলে দুই ‘জঙ্গি’র মরদেহ নিতে আসেনি কেউ
টাঙ্গাইলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই জঙ্গির মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। স্বজনদের কেউ লাশ নিতে আসেনি।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া জানান, আজ রোববার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।
ওসি জানান, বাড়ির মালিক আজহার উদ্দিন মাস্টারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দুই জঙ্গির পরিচয় সংবাদমাধ্যমকে জানায়।
র্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার মহীউদ্দিন ফারুকী জানান, নিহত দুই জঙ্গি হলেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া গ্রামের আতোয়ার রহমান আতিক এবং একই উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের সাগর হোসেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের স্বজনরা খোঁজ নিতে আসেনি। ঘটনাস্থল টাঙ্গাইল শহরের কাগমারায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ঘটনার দিন বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-১২-এর কমান্ডার ও পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহাবুদ্দিন খান জানান, ওই ভবনের কক্ষ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১০টি চাপাতি, পাঁচটি গুলি, দুটি ল্যাপটপ ও নগদ ৬৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শহরের পৌর এলাকা কাগমারায় মির্জামাঠ এলাকায় তিনতলা একটি ভবনে র্যাব অভিযান চালালে জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই তিনতলা ওই ভবনটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ঘিরে রাখেন।
র্যাব জানায়, ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল পৌঁছানোর পর ভবনের তিনতলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ করেন।
র্যাব আরো জানায়, কাগমারা মির্জামাঠের পাশে আজাহারুল ইসলামের বাড়িতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর জঙ্গিরা ছাত্র পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেয়। দেশব্যাপী জঙ্গি অভিযান চলমান থাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে ওই বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা গড়ে উঠেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে জঙ্গিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে দুই জঙ্গি নিহত হয়। মরদেহগুলো টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এদিকে, বাসার মালিক আজাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রথমে তিনজন ছাত্র বাসা ভাড়া নেয়। এ সময় তাদের কাছে পরিচয়পত্র চাইলে দু-একদিনের মধ্যেই দেওয়ার কথা বলে ওই ছাত্ররা। শনিবার এ ঘটনার পর তিনি জানতে পারেন, তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।