বেনাপোল বন্দরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ দুই
যশোরের বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্টে স্থানীয় এক পৌর কাউন্সিলর ও ইমিগ্রেশন পুলিশের মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে বন্দর শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরে ঘটা এই সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত নয়জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুজন। এ ঘটনায় পৌর কাউন্সিলর ও বন্দর শ্রমিক নেতা রাশেদ আলীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলী ভারত থেকে আসা তাঁর এক আত্মীয়র মালামাল আটকের বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে জানতে চান। এ সময় পুলিশের সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে কয়েক শ বন্দর শ্রমিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনে গিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পুলিশ এ সময় ২০-৩০টি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ছুড়লে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য, এক সাংবাদিক ও পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলীসহ নয়জন আহত হন। পরে শ্রমিকরা বন্দরের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
এদিকে বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, পুলিশের ওপর প্রথমে হামলা চালান শ্রমিকরা। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ২০-৩০টি গুলি ছোড়ে। এ সময় সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে এ ঘটনার সাথে জড়িত পৌর কাউন্সিলরসহ চারজনকে আটক করা হযেছে।
সংঘর্ষের পর থেকে বন্দর এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।