পরীক্ষামূলকভাবে মংলা-ঘাসিয়াখালী নৌপথ চালু
দীর্ঘ পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকলভুক্ত মংলা-ঘাসিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌপথ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গত বৃহস্পতিবার জোয়ারের সময় থেকে আবারও পণ্যবাহী ছোট নৌযান চলাচল শুরু করে এ পথে।
আজ সোমবার বিআইডব্লিউটিএর মংলা-ঘাসিয়াখালী পথ সংস্কারকাজ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এইচ এম ফরহাদ-উজ জামান বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পূর্ণ জোয়ারের সময় এ পথ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্যবাহী ছোট আকৃতির নৌযান চলাচল করেছে। প্রাথমিক অবস্থায় কেবল সাত ফুট গভীরতার জাহাজগুলো পূর্ণ জোয়ারের সময় চলাচল করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পলি জমে বন্ধ হয়ে যাওয়া মংলা-ঘাসিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌপথটি পুনরায় চালু করতে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি ২২ কিলোমিটার এলাকায় খনন শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের ৪৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান ফরহাদ-উজ জামান। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নৌ চলাচল তদারকি করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশন উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান পরীক্ষামূলকভাবে চ্যানেলটি চালু হওয়ার কথা জানান। জুন মাসের মধ্যে এ পথটি পুরোপুরি চালু করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মংলা-ঘাসিয়াখালী পথ দিয়ে চলাচল সফল হলে জুন থেকে সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের মংলা শাখার কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, এ পথ দিয়ে এখন পর্যন্ত বড় জাহাজ বিশেষ করে পণ্যবাহী কার্গো, কোস্টার বা ট্যাংকার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। যেসব নৌযান চলাচল করছে, তা অনেকটা ট্রলার আকৃতির।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের মংলা পাইলট অফিসের বোট মাঝি ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএর পাইলটের মাধ্যমে এ পথ দিয়ে কার্গো বা কোস্টার জাহাজ চলাচলের জন্য এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা তারা পাননি।
২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী একটি জাহাজ ডুবে যায়। এতে পরিবেশদূষণের ব্যাপক আশঙ্কার মধ্যে শ্যালা নদী দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধের দাবি ওঠে।