কাঠের বাক্স থেকে ‘প্রেমিকা’ উদ্ধার
নিখোঁজের তিন মাস পর মেহেরপুরের গাংনী শহরের কাথুলী মোড়ের একটি বাসা থেকে এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, গাংনীর শাহারবাটি গ্রামের চাঁদ আলীর মেয়ে ও গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৫) গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়। বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও না পেয়ে একরকম নিশ্চিত হয়ে গাংনীর কাথুলী মোড়ের বাসিন্দা আবদুর রহমানের ছেলে ইন্তাজুলসহ তিনজনকে আসামি করে ২২ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে গাংনী থানাকে মামলাটি রুজু করে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের আদেশ দেন।
ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল ও এসআই আবদুল জলিল ফোর্স নিয়ে আবদুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। শেষ পর্যন্ত ইন্তাজুলের শোয়ার ঘরের একটি কাঠের বাক্স থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবদুল জলিল মাতুব্বর এনটিভি অনলাইনকে জানান, মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাল মঙ্গলবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে আদালতে পাঠানো হবে।
গাংনী থানা হেফাজতে থাকাবস্থায় ওই ছাত্রী এনটিভি অনলাইনকে জানায়, সে ভালোবেসে ইন্তাজুলের সাথে পালিয়ে যায়। ইন্তাজুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। তার পর থেকে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে ঘরের বিভিন্ন স্থানে তাকে লুকিয়ে রাখা হতো। রোববার পুলিশ অভিযান চালালে কাঠের বাক্সের ভেতরে তাকে রেখে তালা দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশলে উদ্ধার করে।
মেয়েটির বাবা চাঁদ আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার মেয়ে নাবালিকা। তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
ইন্তাজুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।