স্কুলছাত্রকে কারাদণ্ড : ইউএনও-ওসির বদলি স্থগিত চার সপ্তাহ
টাঙ্গাইলের সখীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
সখীপুরের স্কুল শিক্ষার্থী সাব্বির শিকদারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই বছরের সাজা দেওয়ার ঘটনায় এই দুই কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন দুই কর্মকর্তা।
আজ বুধবার শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বদলির আদেশ স্থগিত করে আদেশ দেন। তবে সাব্বির শিকদারের খালাসের আদেশ স্থগিত করা হয়নি।
আদালতে সখীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, ওসির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্কুলছাত্রকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ইউএনও রফিকুল ইসলাম ও সখীপুর থানার ওসি মাকসুদুল আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত একই সঙ্গে ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেন। এ ছাড়া স্কুলছাত্রকে দেওয়া সাজাও বাতিল করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সখীপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়ের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদারকে দুই বছরের সাজা দেন নির্বাহী হাকিমের দায়িত্ব পালনকারী ইউএনও। বিষয়টি গত ২০ সেপ্টেম্বর ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এরপর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। আদালত দুই সরকারি কর্মকর্তাকে তলব করেন।
তলবের ওপর শুনানিকালে স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদার আদালতকে জানায়, ওসি, সংসদ সদস্য এবং ইউএনও ঘটনার দিন রাতে তার বাসায় গিয়ে নির্যাতন করে। সংসদ সদস্য তাকে লাথি মারেন। পরে ওসি তাকে ধরে থানায় নিয়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেন এবং অন্যান্য শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তাকে গাঁজা সেবনের অভিযোগে মামলা দিয়ে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়।
অবশ্য আদালতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাজির দুই সরকারি কর্মকর্তা।