লাবণীর বিয়ে ঠেকাল প্রশাসন
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে লাবণীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হলো। পাবনার বেড়া পৌর এলাকার মেয়ে লাবণীর গায়ে হলুদ সম্পন্ন হয়েছিল আজ বৃহস্পতিবার। শুক্রবার বিয়ে হওয়ার আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করা হয়।
গতকাল বুধবার ‘পরশু লাবণীর বিয়ে’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন এনটিভিবিডিডটকমে প্রকাশিত হয়। বিবিসি বাংলা এনটিভি অনলাইনের বরাত দিয়ে খবরটি আজ সকালে প্রচার করে।
লাবণী বনগ্রাম দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। লাবণীর বাবা জয়নাল ট্রাকচালক সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে লাবণীর বিয়ে ঠিক করেন। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা ও একটি সোনার চেইন যৌতুক দিতে সম্মত হন।
খবরটি প্রকাশিত হলে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পুলিশের সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিকসহ প্রশাসনের কয়েকজন ব্যক্তি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাবণীদের বাড়িতে যান। সেখানে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করেন। মিজানুর রহমান বাল্যবিবাহ সম্পর্কে লাবণীদের পরিবারকে বোঝান এবং পরে তারা বিয়ে বন্ধ করতে সম্মত হয়।
মিজানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘লাবণীদের পরিবারসহ সাদ্দামরাও ভুল বুঝতে পেরেছে। আমরা তাদের বুঝিয়েছি। পরে তারা আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। যেহেতু তারা ভুল বুঝতে পেরে মেনে নিয়েছে, সে জন্য কাউকে আটক করা হয়নি।’